channel-thumbnailchannel-thumbnail
cardsubscribed-thumbnail
Saimum Shilpigosthi

@SaimumShilpigosthi . 331 subscribers . 9 Videos

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী পরিচিতি বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গ ...    

cardsubscribed-thumbnail
Saimum Shilpigosthi

331 Subscribers

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী পরিচিতি বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এক সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা দেশ। এ দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এখানকার মানুষের প্রাণের সংস্কৃতি হলো শাশ্বত ইসলামী মূল্যবোধের সংস্কৃতি। এই আদর্শবাদী সোনালি সংস্কৃতির চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’।  বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক মীর কাসেম আলীর তত্ত্বাবধানে এবং তরুণ কবি, সুরস্রষ্টা, গীতিকার ও শিল্পী মতিউর রহমান মল্লিকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে সত্য-ন্যায়ের তূর্যবাদক এই সংগঠন। মননশীল সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার শুভার্থী মিয়া মোহাম্মদ আইয়ুব সংগঠনটির নাম দেন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’।  বাংলাদেশে ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ সংগঠন হিসেবে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর নাম সর্বজনবিদিত। সংগঠনটি বর্তমানে ছয়টি বিভাগীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিভাগগুলো হলো—সঙ্গীত, থিয়েটার, শিশু, কিশোর, তেলাওয়াত এবং শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি।  প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত বহু গুণী ব্যক্তি সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মতিউর রহমান মল্লিক, আসাদ বিন হাফিজ, মাওলানা তারেক মনোয়ার এবং সাইফুল্লাহ মানসুর।  ১৯৭৮সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সাফল্য অনেক। সাইমুমের ছায়াতলে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক কর্মীরা জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে কবি, সাহিত্যিক, কণ্ঠশিল্পী, ক্বারী, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা এবং সংগঠক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এছাড়াও, ইসলামী চিন্তাবিদ, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্দেশক, উপস্থাপক, সাংবাদিক এবং অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবে মিডিয়া অঙ্গনে ছড়িয়ে আছেন এ সংগঠনের অনেক কর্মী।  অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রকাশনার ক্ষেত্রেও সাইমুমের অবদান অসাধারণ। সংগঠনটি এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে এবং ৪০টিরও বেশি মঞ্চনাটক মঞ্চস্থ করেছে। সাইমুমের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে ৩০ বছর পূর্তি স্মারক, মল্লিক স্মারক এবং সাহিত্য পত্রিকা ‘বাতায়ন’।  চার দশকের পথচলায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী ইসলামী সংস্কৃতির প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে এবং আজও সেই পথ ধরে এগিয়ে চলেছে।